বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ: মাত্র ৭ দিনে প্রবাসী লোন!

বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন অনেকের মনে থাকে, কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে অনেক সময় তা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং অন্যান্য ব্যাংক থেকে সহজে লোন নিয়ে আপনি এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব, বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন পেতে কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন এবং কীভাবে আপনি সহজে এই লোন পেতে পারেন।

Table of Contents

প্রবাসী লোন কী এবং কেন প্রয়োজন?

আমাদের বিদেশ যাওয়ার জন্য অনেক সময় টাকার শর্ট পড়ে। প্রয়োজনে আমরা কিন্তু লোন নেওয়ার চিন্তাভাবনা করি। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বা আদার যেসব ব্যাংকগুলো আছে, যে বিদেশ যাওয়ার জন্য যে লোন দেয়, এই লোন নেওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগে বা কি কি কাগজপত্র হলে আপনি খুব সহজে লোন পেতে পারেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের সুবিধা

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি যদি লোন নিতে চান, তাহলে আপনার কি কি কাগজপত্র লাগবে? অর্থাৎ বিদেশ যাওয়ার জন্য বিদেশী লোন নিয়ে আপনি যদি বিদেশ যেতে চান বা বৈদেশিক লোন নিয়ে আপনি যদি বিদেশ যেতে চান, তাহলে আপনার কি কি কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন পড়বে, সেটা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

লোন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান, তাহলে নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:

আপনার ব্যক্তিগত কাগজপত্র

  • বাংলাদেশী নাগরিকত্ব: আপনাকে সর্বপ্রথম যেটা হতে হবে, সেটা হচ্ছে আপনি বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার পরে আপনাকে হচ্ছে আপনার ভোটার আইডি কার্ড থাকতে হবে। প্রথমত হচ্ছে আপনাকে বিদেশী লোন পেতে হলে বাংলাদেশী নাগরিক হইতে হবে, অর্থাৎ জন্মসূত্রে বাংলাদেশী হইতে হবে। দেন আপনার একটা ভোটার আইডি কার্ড লাগবে।
  • বৈধ পাসপোর্ট: আপনি যেহেতু বিদেশ যেতে চান, তাহলে হচ্ছে আপনার একটা পাসপোর্ট থাকতে হবে। বৈধ পাসপোর্ট প্রথম হচ্ছে আপনার ভোটার আইডি কার্ড, আবার আপনার একটা বৈধ পাসপোর্ট লাগবে।
  • ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট: দেন আপনার লাগবে যে দেশে আপনি যেতে চান, সেই দেশের ভিসার কপি এবং যে দেশে যাচ্ছেন, সেই দেশের ওয়ার্ক পারমিট, অর্থাৎ ওই দেশের যে ম্যানপওয়ার, ম্যানপওয়ারের কাগজ।
  • অন্যান্য ডকুমেন্টস: তিন দিনের ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট, বিএমইটি কার্ড এবং আপনার নামে হচ্ছে একটা ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে এবং তিনটা চেকের পাতা এবং দুই কপির ছবি। এইগুলো হচ্ছে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, মানে আপনার এই ডকুমেন্টস গুলো লাগবে।

আরো পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া কি কেন হয় লক্ষণ ও প্রতিরোধে করনীয়

জামিনদার বা গ্যারান্টারের কাগজপত্র

দ্বিতীয়ত হচ্ছে, আপনি যে লোন নিয়ে বিদেশ যেতে চান, আপনার জন্য একজন জামিনদার অথবা একজন গ্যারান্টার লাগবে। সেই গ্যারান্টারের জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন:

  • ভোটার আইডি কার্ড এবং ছবি: সেই গ্যারান্টারের লাগবে ভোটার আইডি কার্ড এবং সেই জামিনদারের বা গ্যারান্টারের লাগবে দুই কপি ছবি।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং চেক: তার লাগবে একটা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, তার তিনটা চেকের পাতা।
  • পেশার প্রমাণ: এবং সে কি পেশায়, কে পেশায় নিয়োজিত আছে, অর্থাৎ তার পেশাটা কি? তার পেশা যদি চাকরিজীবী হয়, তাহলে জব আইডি কার্ড। সে যদি সরকারি চাকরিজীবী হয়, সে সরকারি জব আইডি কার্ড। এবং সে যদি ব্যবসায়ী হয়, তাহলে তার ট্রেড লাইসেন্স। এবং সে আদারস পেশায় যদি হয়, কৃষক, ফার্মার বা মজুর, সেই ক্ষেত্রে আপনার হচ্ছে প্রত্যায়ন পত্র, চেয়ারম্যানের বা চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট। এইগুলো হচ্ছে তার প্রয়োজন পড়বে।
বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ: মাত্র ৭ দিনে প্রবাসী লোন!
বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ: মাত্র ৭ দিনে প্রবাসী লোন!

লোন পাওয়ার প্রক্রিয়া

এইছাড়া আদারস কোন কাগজপত্র লাগে না। এই কাগজপত্র যদি আপনার থাকে বা সেই গ্যারান্টার থাকে, তাহলে আপনি তিন থেকে চার লাখ টাকা, অর্থাৎ আপনি আপনার ভিসার উপর ডিপেন্ড করে বা যে দেশে যাচ্ছেন, সে দেশের ভিসার উপর ডিপেন্ড করে, আপনার এই কাগজপত্রগুলো হলে আপনি কিন্তু সহজে লোন পেতে পারেন।

লোন পাওয়ার সময়সীমা

আপনি যদি একজন প্রবাসী হয়ে থাকেন বা আপনি যদি প্রবাসে যেতে চান, প্রবাসীর জন্য লোন লাগে, তাহলে আপনার এসব কাগজপত্র সাবমিট করলে এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহের ভিতরে আপনি লোনটা পাবেন।

কাগজপত্রের সারাংশ

আমি আরেকবার একটু আপনার যদি সামারাইজ করি যে আপনার কি কি লাগতেছে:

  • আপনার একটা ভোটার আইডি কার্ড লাগতেছে।
  • আপনার একটা পাসপোর্ট থাকতে হচ্ছে।
  • আপনার একটা চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট থাকতে হচ্ছে।
  • যে দেশে যাচ্ছেন, সে দেশের ভিসার কপি।
  • ম্যানপাওয়ারের কাগজ, তিন দিনের ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট, বিএমইটি কার্ড, ফিঙ্গারের কাগজ এবং একটা আছে কন্টাক্ট লেটার, অর্থাৎ জব অফার লেটার।
  • জামিনদারের লাগতেছে ভোটার আইডি কার্ড, চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট, জামিনদারের হচ্ছে ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা জামিনদারের তিনটা চেকের পাতা। এই তিনটা চেকের পাতা আর হচ্ছে জামিনদার যে পেশায় নিয়োজিত আছে, যদি কোন চাকরিজীবী হয়, চাকরির আইডি কার্ড এবং সে যদি কোন ব্যবসায়ী হয়, তাহলে ট্রেড লাইসেন্স এবং তার তিনটা চেকের পাতা।
লোন আবেদনের পদক্ষেপ

এইগুলো হচ্ছে নিয়ে আপনি গুছায়ে একটা এটাচমেন্ট করে সেট করে, মানে দুইটা কপি করে আপনি আপনার নিকটস্থ যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আছে বা বৈদেশিক মুদ্রা যে সংযোজন যে ব্যাংকগুলো আছে বা ব্যারাক অফিস আছে, তাদের মাধ্যমে খুব সহজেই কিন্তু এই কাগজপত্র দিয়ে আপনি কিন্তু লোনটা নিতে পারবেন, কোন ঝামেলা বা হ্যাসেল ছাড়াই।

সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু টাকার প্রয়োজন হতে পারে, স্থানকাল পাত্রভেদে এটা হয়, বাংলাদেশে এটা হয়ে আসছে। আবার অনেক সময় কিন্তু আপনার কাগজপত্রগুলো সাবমিট করলে তিন থেকে চার লাখ টাকা আপনি অনায়াসে লোন পেতে পারেন। তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে লোনটা নিলে হচ্ছে কি, তিন থেকে চার মাস একটু প্যারা কম খাওয়া যায়। অন্যান্য ব্যাংকে কিন্তু একটু প্যারা থাকে।

প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর

১. প্রবাসী ঋণ কী?

প্রবাসী ঋণ হল একটি আর্থিক পণ্য যা বিশেষভাবে বিদেশে বসবাস এবং কাজ করার পরিকল্পনাকারী ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা তাদের স্থানান্তরের খরচ, আবাসন এবং আরও অনেক কিছু মেটাতে প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করে।

২. আমি কত দ্রুত আমার প্রবাসী ঋণ অনুমোদন করতে পারি?

আমরা বুঝতে পারি যে সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! আমাদের সুগম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, আপনি মাত্র ৭ দিনের মধ্যে আপনার প্রবাসী ঋণ অনুমোদন করতে পারেন।

৩. আমাকে কোন নথিপত্র আবেদন করতে হবে?

আবেদন করার জন্য, আপনার সাধারণত আয়ের প্রমাণ, পরিচয়পত্র এবং আপনার গন্তব্য দেশ সম্পর্কে বিশদ বিবরণের প্রয়োজন হবে। আমাদের দল আপনাকে সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলি সম্পর্কে গাইড করবে!

৪. আমি যদি এখনও বিদেশে চাকরি নিশ্চিত না করি তবে আমি কি ঋণের জন্য আবেদন করতে পারি?

অবশ্যই! আমাদের ঋণগুলি এমন ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে যারা বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, এমনকি চাকরির স্থান এখনও প্রক্রিয়াধীন থাকলেও।

৫. ঋণের সাথে কি কোনও লুকানো ফি যুক্ত আছে?

স্বচ্ছতা গুরুত্বপূর্ণ! আমরা গর্বিত যে কোনও লুকানো ফি নেই — আপনি যা দেখতে পাবেন তাই পাবেন। সমস্ত খরচ আপনার চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হবে।

৬. প্রবাসী ঋণের মাধ্যমে আমি কত টাকা ধার করতে পারি?

ঋণের পরিমাণ আপনার আর্থিক পরিস্থিতি এবং চাহিদার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। আপনার বিদেশ ভ্রমণের জন্য সর্বোত্তম পরিমাণ নির্ধারণ করতে আমাদের বিশেষজ্ঞরা আপনার সাথে কাজ করবেন।

৭. আমি যদি সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারি তাহলে কী হবে?

যদি আপনি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে অনুগ্রহ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। অতিরিক্ত চাপ ছাড়াই আপনার অর্থ প্রদান পরিচালনা করতে আমরা নমনীয় সমাধান অফার করি।

৮. আমার ব্যক্তিগত তথ্য কি আপনার কাছে নিরাপদ?

আপনার নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার! আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সর্বদা গোপন এবং সুরক্ষিত থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা উন্নত এনক্রিপশন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করি।

শেষ কথা?

আপনি চাইলে এসব কাগজপত্র দিয়ে আপনি সহজেই লোনটা নিয়ে যেতে পারবেন। আপনারা যারা জানেন না যে বিদেশ যেতে গেলে যে প্রবাসী কল্যাণে যে লোনটা দেয়, এটা মনে হয় অনেক প্যারা বা হ্যাসেল বা অনেক কাগজপত্র লাগে। কিন্তু এইসব কাগজপত্র হলেই আপনি আপনার লোনটা নিতে পারবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

probashi.gov.bd - প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, Amiprobashi, Bmet, Probashi App, BMET registration, pdo enrollment, Download PDO Certificate.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন:

Leave a Comment