অনলাইনে জমির ই-পর্চা বা খতিয়ান বের করার নিয়ম

অনলাইনে জমির ই-পর্চা বা খতিয়ান বের করার নিয়ম. অনলাইনে জমির ই-পর্চা বা খতিয়ান বের করা এখন খুবই সহজ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই আপনার জমির তথ্য, যেমন খতিয়ান নাম্বার, দাগ নাম্বার, বা মালিকের বিবরণ জানতে পারেন। এই আর্টিকেলে আমরা ধাপে ধাপে আলোচনা করব কীভাবে আপনি ই-পর্চা বা খতিয়ান অনুসন্ধান করবেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য বের করবেন।

Table of Contents

ধাপ ১: ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা

প্রথমে আমাদের পিসিতে প্রবেশ করতে হবে। দেন এখান থেকে যেকোন একটা ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। আমি Google কম ব্রাউজারটা ব্যবহার করতেছি। আপনারা চাইলে যেকোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন।

এখানে লিখতে হবে ইপর্চা। আপনি বাংলাও লিখতে পারেন, ইংলিশেও লিখতে পারেন। যদি এখানে আপনি বাংলায় লেখেন ইপর্চা, ইপর্চা লিখে স্যার দিলেও আসবে বা ইপর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান লিখে স্যার দিলেও আসবে। আমি ইপর্চায় চলে যাচ্ছি সরাসরি।

ডিএলআরএমএস ওয়েবসাইটে প্রবেশ

দেন এখান থেকে প্রথমে একটা ওয়েবসাইট দেখতে পাচ্ছেন ডিএলআরএমএস। এই ডিএলআরএমএস ওয়েবসাইটে আমাদের সর্বপ্রথম প্রবেশ করতে হবে। দেখতে পারবেন সার্ভে খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান, মৌজা ম্যাপ, আবেদনের অবস্থা এবং নির্দেশিকা।

দেন এখানে আপনার আপনাদের হাতে যে পর্চাটা আছে বা আপনারা যেটা দেখতে চাচ্ছেন, সেটা হচ্ছে সার্ভে খতিয়ান। অর্থাৎ যখন জরিপ করা হয়েছে বা মাঠ পর্চা বা এসএ পর্চা বা বিআরএস পর্চা, সবকিছুই কিন্তু আপনি সার্ভে খতিয়ানে পেয়ে যাবেন।

ধাপ ২: খতিয়ানের তথ্য নির্বাচন

এই সার্ভে হতে ক্লিক করার পরে নন এখান থেকে আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার বিভাগসটা সিলেক্ট করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে বিভাগের বাসিন্দা, সেই বিভাগটা আপনাকে দিতে হবে।

আরো পড়ুন:ইউরোপে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ । Europe Visa Apply

দেন আমি আমার খুলনা বিভাগটা সিলেক্ট করতেছি। খুলনা বিভাগ সিলেক্ট করার পরে খুলনা বিভাগের আপনার যে জেলাটা আছে, সেই জেলাটা সিলেক্ট করতে হবে। সেখান থেকে আমার জেলা খুলনা এবং উপজেলা 13।

উপজেলা এবং খতিয়ানের ধরন নির্বাচন

সিলেক্ট করার পরে এখানে দেখতে পারবেন, আপনি বিভাগ দিলেন, জেলা দিলেন, উপজেলা দিলেন। এবার দেখবেন আপনার খতিয়ানের ধরণ, অর্থাৎ আপনি কি ধরনের খতিয়ান চাচ্ছেন। আপনি কি সিএস চাচ্ছেন, নাকি আপনি কি এসএস চাচ্ছেন, নাকি বিএস চাচ্ছেন, নাকি বিআরএস চাচ্ছেন।

অনলাইনে জমির ই-পর্চা বা খতিয়ান বের করার নিয়ম
অনলাইনে জমির ই-পর্চা বা খতিয়ান বের করার নিয়ম

চারটা চার ধরনের খতিয়ান। যদি আপনার এরকম লেখা থাকে, যেটা ডিপি মানে, ওটাতে মানে বুঝতে হবে ওটা একটা বিআরএস পরা। আর এসএ পরসা মানে আগের যে রেকর্ড, রেকর্ডি পর্চা, এটা এস পরা। আপনি যে কোন একটা সিলেক্ট করতে পারেন।

খতিয়ানের ধরন অনুযায়ী নির্বাচন

অর্থাৎ আপনার যে পর্চা, সেই পর্চা অনুযায়ী আপনার যদি এসএ হয়, এসএ দিবেন। আপনার যদি বিআরএস হয়, বিআরএস দিবেন। আপনার যদি বিএস হয়, তাহলে বিএস দিবেন। আমি যেহেতু এসএ পর্চাটা সার্চ করব। এসএতে ক্লিক করলাম।

ধাপ ৩: মৌজা এবং খতিয়ান নাম্বার নির্বাচন

এসএতে ক্লিক করার পর এখানে আপনাকে মৌজা দিতে হবে। এখানে দেখতে পাচ্ছেন যে আমার এই জেলার, এই উপজেলার, এই এসএ খতিয়ানে যতগুলো মৌজা আছে, সে মৌজাগুলো শো করতেছে। এখানে আপনার যে মৌজাটা আছে, আপনি সেম সেই মৌজাটা সিলেক্ট করবেন। আমি এখানে আমার মৌজাটা বারাসাত। আমি বারাসাত সিলেক্ট করলাম। বারাসাত সিলেক্ট করার পরে এখানে দেখতে পারবেন যে খতিয়ানের সিরিয়াল নাম্বার আছে। খতিয়ানের তালিকাগুলো দেখতে পারবেন।

খতিয়ান নাম্বার দিয়ে অনুসন্ধান

এখন আপনার কাছে যে খতিয়ানটা আছে, অর্থাৎ আপনার কাছে যে পর্চাটা আছে, হাতে লেখা হোক বা কম্পিউটার টাইপকৃত পর্চা হোক, যে পর্চাটা আছে, সেই পর্চা দেখবেন উপরে লেখা আছে খতিয়ান নাম্বার। সেই খতিয়ান নাম্বার চাইলে আপনি দিতে পারেন এখানে। কিংবা আপনি চাইলে এখানে অধিকতর অনুসন্ধানে যে আপনি দাগ নাম্বার দিতে পারেন, কিংবা কোন ব্যক্তি দিয়েও সার্চ করতে পারেন।

উদাহরণ: খতিয়ান নাম্বার দিয়ে সার্চ

দেন আমরা একটা খতিয়ান নাম্বার দিয়ে সার্চ করে দেখি। মনে করেন যে আমি একটা খতিয়ান দিয়ে সার্চ করলাম। খতিয়ানের নাম্বার হচ্ছে মনে করেন যে 50। 50 এর পরে খুঁজনা দিলাম। দেওয়ার পর দেখতে পাচ্ছেন যে 50 নাম্বার খতিয়ানে এই ব্যক্তিগুলোর নাম শো করতেছে।

কিংবা আপনি যদি দেন এখানে আপনার যে পর্চা আছে, মনে করেন আপনার পর্চা নাম্বার 145। এই 145 এ যে ব্যক্তিগুলো শো করতেছে, চাইলে জমির অংশ এবং জমির মালিক এবং জমির দাগ নাম্বার, সবকিছু কিন্তু আপনি দেখতে পারবেন।

ধাপ ৪: বিস্তারিত তথ্য দেখা

আপনি এখানে ডাবল ক্লিক করেন, করার পর দেখতে পারবেন যে খতিয়ান নাম্বার 145, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সার্ভে, মৌজা এবং জমির পরিমাণ এবং জমির মালিকের যে নামগুলো আছে, সে নামগুলো কিন্তু এখানে শো করতেছে। এই ডট ডট ডট দেয়ার মানে হচ্ছে এখানে আরো মালিক আছে।

সেজন্য এখানে ডট ডট ডট অপশন আছে। এবং ওই জমি যে দাগ নাম্বারটা, সেই দাগ নাম্বারটা এখানে কিন্তু চলে আসছে। অর্থাৎ আপনি একটা খতিয়ান নাম্বার দিয়ে মালিকের পুরো তথ্য পাচ্ছেন।

দাগ নাম্বার দিয়ে অনুসন্ধান

কিংবা আপনি যদি চান যে আপনার খতিয়ান নাম্বার মুখস্ত নেই, সেই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে কিন্তু আপনি দাগ নাম্বার দিয়েও আপনি সার্চ করতে পারবেন। দেখতেছেন অধিকতর অনুসন্ধান। এখানে দেখতে পাচ্ছেন মালিকের নাম অথবা দাগ নাম্বার। এখান যদি আপনি দাগ নাম্বার দেন।

মনে করেন যে আপনি একটা সাপোজ একটা দাগ নাম্বার ধরলেন 450। একটা দাগ নাম্বার এটাতে খুঁজলেন। খোজার পর দেখতে পাচ্ছেন যে 450 দাগ নাম্বারে এতগুলো মালিক আছে। অর্থাৎ 450 দাগে এতগুলো পর্চা আছে।

নির্দিষ্ট দাগ নাম্বার দিয়ে সার্চ

আপনি যদি স্পেসিফিক কোন দাগ দেন, যে 5448 বা 5450, যেকোন একটা দাগ দিয়ে খুঁজেন, এখন দেখতে পাচ্ছেন যে আপনি যে দাগটা খুঁজে সার্চ করছেন, এই দাগে কোন মানে দাগ নাম্বারই নাই। এবং এখানে এমনও হতে পারে যে আপনার এখানে শো করতেছে 1142 বা 1260, এরকম কোন দাগ শো করতেছে।

যে 1142, যে এরকম একটা দাগ নাম্বার শো করতেছে। বা কিন্তু এখানে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন হইতে পারে। আমি 1100 দিয়ে যখন সার্চ করলাম, তখন দেখতেছি এই ব্যক্তির নামে একটা পর্চা আছে। দেন আপনার যে দাগ নাম্বারটা আছে, সে দাগ নাম্বার সার্চ দিলে এখানে আপনি জমির পরিমাণ দেখতে পারবেন, তার নাম দেখতে পারবেন।

ধাপ ৫: মালিকের নাম দিয়ে অনুসন্ধান

এবং ইচ এন্ড এভরিথিং, আপনি সবকিছু কিন্তু এখান থেকে দেখতে পারবেন। এবং আপনি যদি চান যে আপনার দাগ নাম্বার মুখস্ত নাই বা দাগ নাম্বার মনে নাই, আপনার জমি জমির মালিক যে, বা আপনার পিতা বা মাতা বা আপনার দাদা, যে কারো নামে জমি থাকতে পারে, তাদের নাম দিয়ে সার্চ করবেন। সেইখানে আপনি জাস্ট একটা নাম দিয়ে সার্চ করলে পাবেন।

উদাহরণ: নাম দিয়ে সার্চ

মনে করেন আমি জব্বার লিখে সার্চ করলাম। আমি জব্বার লিখে যখন সার্চ করলাম, দেখতে পাচ্ছেন যে জব্বার নামে, বা আব্দুল জব্বার হোক, বা জব্বার মল্লিক হোক, বা জব্বার নামে যতগুলো ব্যক্তি আছে আপনার এলাকায় বা আপনার মৌজায়, সবগুলো কিন্তু মৌজা শো করতেছে। অর্থাৎ জব্বার নামে যত ব্যক্তি আছে, ওই ব্যক্তিগুলো এখানে শো করতেছে।

মালিকের পরিচয় নিশ্চিত করা

এবং আপনি এটা কিভাবে সিওর হবেন যে জব্বার মূলেক মানে আপনি বা এই জব্বারটা আপনি। এখানে দেখতে পারবেন যে পিতার নামগুলো লেখা থাকে। সে পিতার নাম দিয়ে আপনি যখন এখানে হবার করবেন, মানে মাউসটা রাখবেন, দেখতে পাচ্ছেন যে কালোর ভিতরে লেখা আছে যে কয়া মতিয়া রহমান।

এখানে দেখবেন অনেক কিছু লেখা আছে। অনেক নামগুলো লেখা আছে। এখন এখানে ডিটেলস দেখা যায় না। জাস্ট এরপর হোভার করলে বা মাউসের পয়েন্টার রাখলে এখানে পুরন নামগুলো আছে, যা বা যে ব্যক্তিগর নামগুলো আছে, সবকিছু কিন্তু এখানে শো করতেছে।

ধাপ ৬: পর্চা ডাউনলোড করা

এইভাবে কিন্তু আপনি সহজেই আপনি আপনার দাগ নাম্বার, খতিয়ান নাম্বার, জমির মালিকের নাম, সবকিছু দিয়েই কিন্তু আপনি এখান থেকে পর্চা সার্চ করতে পারবেন। এখন যদি আপনার প্রয়োজন হয় পর্চাটা, আপনি কিন্তু চাইলে এখান থেকে ডাউনলোডও করতে পারবেন। ডাউনলোড করা খুবই ইজি।

ডাউনলোড প্রক্রিয়া

জাস্ট এবার ডাবল ক্লিক করবেন এবং দেখবেন যে এখানে লেখা আছে সংশোধনের প্রয়োজন আর ঝুড়িতে রাখুন। আপনি যখন ঝুড়িতে রাখবেন, ক্লিক করবেন, দেখবেন যে এই কতিয়ানটি যোগ করা হয়েছে। নন এখানে চলে যাবে এবং এখান থেকে অনলাইন কপি। আপনি যদি অনলাইন কপি চান, অনলাইন কপি। আপনি যদি সার্টিফাইড কপি চান, সার্টিফাইড কপি। দেন এখানে ক্লিক করে তারপরে এখানে ক্লিক করে আপনি চেক আউটে চলে যাবেন।

পেমেন্ট এবং ডাউনলোড

চেক আউটে যাওয়ার পরে আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে আপনার পর্চাটা ডাউনলোড করে নিতে হবে। এভাবে খুব সহজেই আপনি কিন্তু আপনার দাদা, দাদি, নানা, নানী, বা স্বজন, বা যার নামে পর্চা চান, বা যার নামে পর্চা খুঁজতে চান, সহজে কিন্তু এখান থেকে আপনি পর্চা খুঁজে বের করতে পারবেন এবং পর্চা দেখতে পারবেন যে আপনার জমির অংশ কতটুকু আছে।

প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর

১. ই-ল্যান্ড ডিড কী?

ই-ল্যান্ড ডিড হল একটি ডিজিটাল ডকুমেন্ট যা জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করে, যা ইলেকট্রনিকভাবে রেকর্ড এবং পরিচালিত হয়।

২. ই-ল্যান্ড ডিডের জন্য আবেদন করার জন্য কারা যোগ্য?

যোগ্যতার মধ্যে সাধারণত সেই ব্যক্তি বা সত্তা অন্তর্ভুক্ত থাকে যাদের জমির আইনি মালিকানা রয়েছে এবং তারা তাদের দাবি যাচাই করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র সরবরাহ করতে পারে।

৩. ই-ল্যান্ড ডিড ইস্যু করার জন্য কোন নথিপত্রের প্রয়োজন হয়?

প্রয়োজনীয় নথিপত্রের মধ্যে সাধারণত পরিচয়ের প্রমাণ, জমির মালিকানার নথি (যেমন বিক্রয় দলিল), এবং পূর্বে জারি করা যেকোনো জমির রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে।

৪. অনলাইনে ই-ল্যান্ড ডিডের জন্য আমি কীভাবে আমার আবেদন জমা দিতে পারি?

অফিসিয়াল ই-ল্যান্ড সার্ভিসেস পোর্টালের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দেওয়া যেতে পারে, যেখানে ব্যবহারকারীদের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করতে হবে।

৫. ই-ল্যান্ড ডিডের জন্য আবেদন করার সাথে কি কোনও ফি জড়িত?

হ্যাঁ, সাধারণত একটি নামমাত্র প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রয়োজন হয়, যা এখতিয়ার এবং জমির আকারের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

৬. আবেদন জমা দেওয়ার পরে ই-ল্যান্ড ডিড পেতে কত সময় লাগে?

প্রক্রিয়াকরণের সময় পরিবর্তিত হতে পারে তবে সাধারণত কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে, যা আবেদনের পরিমাণ এবং যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে।

শেষ কথা?

অনলাইনে ই-পর্চা বা খতিয়ান বের করা এখন খুবই সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার জমির তথ্য দ্রুত পেতে পারেন এবং প্রয়োজনে পর্চা ডাউনলোড করতে পারেন। এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি ঘরে বসেই আপনার জমির বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

probashi.gov.bd - প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, Amiprobashi, Bmet, Probashi App, BMET registration, pdo enrollment, Download PDO Certificate.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন:

Leave a Comment