সৌদি কাজের ভিসা সরাসরি কোম্পানি নিয়োগ । Saudi Work Visa

সৌদি কাজের ভিসা সরাসরি কোম্পানি নিয়োগ । Saudi Work Visa, সৌদি আরব কফি শপ কাজের ভিসা ২০২৫: বিস্তারিত গাইড, সৌদি আরবের কফি শপ এবং রেস্তোরাঁয় কাজের ভিসা সম্পর্কে তথ্যে দেওয়া হবে এই আর্টিকেল. এই গাইডে ভিসা, বেতন, কাজের ধরন, এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো। এই আর্টিকেল বিশেষভাবে সৌদি আরবে কফি শপ এবং রেস্তোরাঁয় কাজের সুযোগের উপর ফোকাস করে।

কাজের সুযোগ

• পদের ধরন:
  • কফি শপ ওয়ার্কার (বারিস্তা, ক্যাশিয়ার, সার্ভার)।
  • রেস্তোরাঁ ওয়ার্কার (ওয়েটার, ক্লিনার, কিচেন হেল্পার)।
  • প্যাকেজিং ওয়ার্কার।
  • ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার।
  • কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার।
  • ইনডোর ক্লিনার।
  • জেনারেল ওয়ার্কার।
• কাজের সময়: প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৬ দিন (১ দিন ছুটি)।
• ওভারটাইম: ওভারটাইমের সুযোগ রয়েছে, ঘণ্টার পরিমাণ কাজের ধরন এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে।

সৌদি আরব ভিসার দাম কত?

• সৌদি আরবে ৯০ দিনের কাজের ভিসা কত?
• সৌদি আরব যাওয়ার বয়স কত লাগে?
• সৌদি আরবে ওয়ার্ক পারমিট ফি কত?

আরো পড়ুন: জর্ডানে নিয়োগ ২০২৪ | সরকারি খরচে বিদেশে কর্মী নিয়োগ 2024

বেতন এবং সুবিধা

• বেতন: মাসিক ১০০০-১৪০০ সৌদি রিয়াল (প্রায় ৩২,০০০-৪৪,৮০০ টাকা, ১ সৌদি রিয়াল = ৩২ টাকা ধরে)।
• ওভারটাইম: অতিরিক্ত আয়ের জন্য ওভারটাইমের সুযোগ।
• থাকার ব্যবস্থা: কোম্পানি থেকে বিনামূল্যে থাকার সুবিধা (শর্ত সাপেক্ষে)।
• খাবার: সাধারণত নিজের ব্যয়ে।
• অন্যান্য সুবিধা:
  • স্বাস্থ্য বীমা (কোম্পানি প্রদত্ত, শর্ত সাপেক্ষে)।
  • নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ কাজের পরিবেশ।
  • দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়াকরণ।

আবেদনের যোগ্যতা

• বয়সসীমা: ২১-৪৫ বছর (দক্ষতার ভিত্তিতে শিথিলযোগ্য)।
• শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন নেই, তবে কাজের অভিজ্ঞতা (বিশেষ করে কফি শপ বা রেস্তোরাঁয়) অগ্রাধিকার পায়।
• ইংরেজি দক্ষতা: বেসিক ইংরেজি কথোপকথনের দক্ষতা প্লাস পয়েন্ট, তবে অত্যাবশ্যক নয়।
• শারীরিক যোগ্যতা: শারীরিকভাবে সুস্থ এবং দীর্ঘ সময় কাজ করার ক্ষমতা।
• প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
  • বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদী, ২টি ফাঁকা পৃষ্ঠা সহ)।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৬ কপি, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে)।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট (সৌদি অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে)।
  • কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।
  • তাকমুল সার্টিফিকেট: বর্তমানে এটির প্রয়োজন নেই।

আবেদন প্রক্রিয়া

সৌদি আরবের কফি শপ এবং রেস্তোরাঁয় কাজের ভিসার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

1. নিয়োগকর্তার আবেদন:
   • সৌদি আরবের কোম্পানি স্থানীয় শ্রম মন্ত্রণালয়ে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করে।
   • আমন্ত্রণ পত্র এবং চুক্তিপত্র প্রদান করা হয়।
2. ডকুমেন্ট জমা:
   • বাংলাদেশে সৌদি আরবের দূতাবাসে (ঢাকা) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
   • ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।
3. ফিঙ্গারপ্রিন্ট:
   • ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক (দোতলা) বা অন্যান্য নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে।
   • পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিতে হবে।
4. মেডিকেল টেস্ট:
   • সৌদি আরবের অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারে মেডিকেল পরীক্ষা করাতে হবে।
5. ইন্টারভিউ:
   • কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানি বা এজেন্সি ইন্টারভিউ নিতে পারে, যেখানে কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা যাচাই করা হয়।
6. ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং ফ্লাইট:
   • কাশবন ট্রাভেলসের মাধ্যমে ১৫-২০ দিনের মধ্যে ভিসা এবং ফ্লাইট নিশ্চিত করা সম্ভব।
   • সাধারণত ১-৩ সপ্তাহের মধ্যে প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হয়।
7. এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন:
   • কাশবন ট্রাভেলসের মতো বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করুন।
   • যোগাযোগ: ফোন নাম্বার (+৮৮০১৪০০৪০০৬৯৩, +৮৮০১৪০৪০০৪৮৯৬)।
   • অফিস: যাত্রাবাড়ি, শহীদ ফারুক রোড, রহমান প্লাজা।

খরচ

• ভিসা ফি: ৫০-১০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৬,৩৫০-১২,৭০০ টাকা, ১ ডলার = ১২৭ টাকা ধরে)।
• এজেন্সি খরচ: মোট ২-৪ লাখ টাকা (ফ্লাইট, মেডিকেল, এবং ডকুমেন্টেশন ফি সহ)।
• অতিরিক্ত খরচ: মেডিকেল টেস্ট এবং ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য ৩০,০০০-৫০,০০০ টাকা।
• ডিপোজিট: পাসপোর্ট জমার সময় প্রাথমিক ডিপোজিট, বাকি টাকা ভিসা ইস্যুর পর।

ভিসার মেয়াদ

• মেয়াদ: প্রাথমিকভাবে ৩ মাস থেকে ১ বছর, নিয়োগকর্তার চুক্তির উপর নির্ভর করে বাড়ানো যায়।
• ইকামা (রেসিডেন্সি পারমিট): সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর ১-২ বছরের জন্য ইকামা ইস্যু করা হয়।

সতর্কতা

• বিশ্বস্ত এজেন্সি: প্রতারণা এড়াতে কাশবন ট্রাভেলসের মতো সরকার-অনুমোদিত এজেন্সি বেছে নিন।
• ডকুমেন্ট যাচাই: সব ডকুমেন্ট সঠিক এবং আপ-টু-ডেট কিনা তা নিশ্চিত করুন।
• প্রতারণা এড়ানো: অপরিচিত বা অবিশ্বস্ত এজেন্টদের কাছে টাকা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
• তাকমুল সার্টিফিকেট: বর্তমানে এটির প্রয়োজন নেই, তবে এজেন্সির সাথে নিশ্চিত করুন।
• অফিস পরিদর্শন: যাত্রাবাড়ি, শহীদ ফারুক রোড, রহমান প্লাজায় কাশবন অফিসে গিয়ে সরাসরি কথা বলুন।
• রিভিউ যাচাই: কাশবন ট্রাভেলসের পূর্ববর্তী ক্লায়েন্টদের রিভিউ দেখে নিশ্চিত হন।

কেন কফি শপে কাজ করবেন?

• দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ: ১৫-২০ দিনে ভিসা এবং ফ্লাইটের সুযোগ।
• স্থিতিশীল আয়: মাসিক ১০০০-১৪০০ রিয়াল এবং ওভারটাইমের মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়।
• কাজের পরিবেশ: কফি শপ এবং রেস্তোরাঁয় কাজ তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক এবং নিরাপদ।
• চাহিদা: সৌদি আরবে হসপিটালিটি সেক্টরে ক্রমবর্ধমান চাহিদা।
• থাকার সুবিধা: বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা কাজের খরচ কমায়।

শেষ কথা?

সৌদি আরবের কফি শপ এবং রেস্তোরাঁয় কাজের ভিসা বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় সুযোগ। মাসিক ১০০০-১৪০০ রিয়াল বেতন, বিনামূল্যে থাকার সুবিধা, এবং দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ এই কাজকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। কাশবন ট্রাভেলসের মাধ্যমে আবেদন করুন এবং প্রতারণা এড়াতে সতর্ক থাকুন।