পায়ে পানি আসা: কারণ ও করণীয়

পায়ে পানি আসা: কারণ ও করণীয়, আসসালামুয়ালাইকুম। আমি ডাক্তার আবুল হায়াত, লিভার বিশেষজ্ঞ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। আমরা আজকে এই আর্টিকেল আলাপ করব একটি কমন অসুখ নিয়ে, যদি নিয়ে প্রায়ই আমাদের কাছে রোগী রয়েছে। তাকে যে, স্যার আমার দুই পা ফুলে গেছে। অর্থাৎ পা ফুলে গেলে কি করণীয়? আমরা এ ব্যাপারে আজকে আলোচনা করবে।

পায়ে পানি আসার ধারণা

আমাদের পায়ের অনেক সময় বিভিন্ন কারণেই পানি এসে থাকে। আমাদের রোগীদের খুব কমন ধারণা হচ্ছে যে, তার দুই পায়ে পানি আসলে সে মনে করে প্রথমেই তার কিডনির অসুবিধা হয়েছে, অথবা তালিবানের অসুবিধা হয়েছে, অথবা তার হৃদপিন্ডের কিংবা হাটখোলা রয়েছে বলে মনে করেন। এবং তখন খারাপ হইয়া গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

প্রাথমিক বিবেচনা

তো আমাদেরকে যদি মনে রাখতে হবে যে, পানি পানি আসবেই। এই তিনটি বড় শহর কোনটি আপনার হয়েছে? এটি প্রথম ধারণা করা। পায়ে পানি আমাদের শরীরের কিংবা শরীরের অন্যান্য জায়গায় আরো পানি আসছে কিনা, সেগুলো দেখে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে, আসলে আমার কোনো বড় অসুখ আছে কি না।

পায়ে পানি আসার কারণ

শরীরের অন্যান্য অংশে পানি অর্থাৎ পায়ে পানি নিয়ে যদি একজন করবি আমার কাছে আসে, তাহলে আমাদেরকে দেখতে হয় যে, তার পায়ে পানির সঙ্গে আসলে তার শরীরের অন্যান্য অংশে খুলে গেছে কিনা। যেমন, তার চোখে, মুখে পানি চলে আসে কিনা, তার পেটে পানি চলে আসে কি না। এগুলো দেখে তখন সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে, আসলে তার জন্য কারণগুলো আছে কিনা।

পায়ে পানি আসা: কারণ ও করণীয়
পায়ে পানি আসা: কারণ ও করণীয়

ওষুধের প্রভাব

শুধু পায়ে পানি নিয়ে যদি কেউ আসে, তাহলে আসলে আমাদেরকে প্রথমেই চিন্তা করতে হয় যে, উনি কোন ওষুধ খাচ্ছেন কি। খুব কমন কিছু ব্যথার ওষুধ খেলেও আমাদের পায়ে পানি চলে আসতে পারে। আমরা যে বিভিন্ন প্রকার প্রেসারের ওষুধ খাই, সেই প্রেসারের ওষুধগুলোর মধ্যে একটি আছে, আমরা দিবেন। সেটি হোটেলে আমাদের পাড়ায় পানি চলে আসতে পারে। তাছাড়া আরও বিভিন্ন প্রকার ওষুধ আছে, যেমন করে দেশের জাতীয় প্রতীক। হাই বাই বাই মানে চলে আসতে পারে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ কারণ

আবার অনেক সময় মহিলাদের ক্ষেত্রে ইডিওপ্যাথিক কারণে পায়ে পানি চলে আসে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি মহিলারই মাসের নির্দিষ্ট সময়ে আধার স্টেটাস ট্রেন হরমোন এর ব্যালেন্স এর জন্য অনেক সময় পায়ে পানি চলে আসে। এবং সেটি আবার একাই চলে যেতে থাকে।

হাইপোথাইরয়েডিজম

সাধারণত আবার মনিরুজ্জামান হাইপোথাইরোডিজম যদি কারো থাকে, সেক্ষেত্রে পায়ে পানি চলে আসতে পারে। হঠাৎ এই কারণগুলো কি আগে এক্সপ্লোর করে, তারপর হচ্ছে যে তার শারীরিক অন্যান্য অসুবিধা আছে কিনা। তার পেটে পানি, মুখে পানি চলে আসে কিনা। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। বিনা পেয়ার অভিধা অল্প একটু হাঁটলেই পেয়ে যাচ্ছেন কিনা। এগুলো দেখে তারপরে আসলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে, আমার কিডনি অসুবিধা হচ্ছে কিনা, কিংবা আমার লিভারপুলের এজন্য এই পানি আসতেছে কীনা। কিন্তু আমার হাত ছিল এজন্য পালিয়ে আসতে থাকেন। অনেক সময় ফুসফুসের জন্য করে পরবর্তীতে পায়ে পানি চলে আসতে পারে।

করণীয়

আতঙ্কিত না হওয়া তবে এই নিরীহ আমার বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, পায়ে পানি আসলে আপনার সঙ্গে সঙ্গে দিতে হবে না। পায়ে পানি কোন কারণ ছাড়া এমবি স্বাভাবিকভাবেই কারো কারো ক্ষেত্রে পায়ে পানি চলে আসতে পারেন। এবং এটি আবার পরবর্তীতে একাই চলে যাবে। এটার জন্য কোন ঔষধ সেবন করা কিংবা অগ্রগতির ধ্বংস করার প্রয়োজন নাই।

জীবনযাত্রার প্রভাব

তবে অনেক সময় যদি ফিজিওলজিক্যালি ও আপনি পায়ে পা ঝুলিয়ে বসে থাকেন, অথবা আপনি কোন লং জার্নি করতে চান। বড় বোনের জানি যেখানে পা নিচের দিকে থাকে, সেটার জন্য অনেক সময় বাড়াবাড়ি চলে আসতে পারে। এগুলো সিম্বল চিকিৎসা হচ্ছে, আপনি নিজে একটি বালিশ দিয়ে যদি সুখে থাকুন, কিছুক্ষণ সময় তো আমাদের পাড়ায় পানি চলে যাবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ

এজন্য পায়ে পানি চলে আসলে প্রথমেই বুঝেন নাই। আপনি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তিনি আপনাকে বলে দিবে নিজের কি কারণে আপনার পায়ে পানি আসতেছে। এবং আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হবে কিনা।

জলযুক্ত পা সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী: কারণ এবং কী করতে হবে

১. জলযুক্ত পা কী?
জলযুক্ত পা বলতে পায়ের পাতায় তরল পদার্থ ফুলে যাওয়া বা জমা হওয়াকে বোঝায়, যার ফলে প্রায়শই ফোলা বা ফোলা ভাব দেখা দেয়।

২. জলযুক্ত পায়ের পাতায় কী কী সমস্যা থাকে?
সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে রক্ত সঞ্চালনের দুর্বলতা, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা বসা, হৃদপিণ্ড বা কিডনির সমস্যা এবং কিছু ওষুধ।

৩. আমার জলযুক্ত পা গুরুতর কিনা তা আমি কীভাবে বলতে পারি?
যদি ফোলাভাব ব্যথা, লালচেভাব বা উষ্ণতার সাথে থাকে, অথবা ঘরোয়া চিকিৎসার পরেও যদি তা অব্যাহত থাকে, তাহলে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন।

৪. কোন ঘরোয়া প্রতিকার পায়ের পাতায় জলযুক্ত পা কমাতে সাহায্য করতে পারে?
পা উঁচু করে তোলা, লবণ গ্রহণ কমানো, হাইড্রেটেড থাকা এবং হালকা ব্যায়াম লক্ষণগুলি উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

৫. জলযুক্ত পায়ের জন্য কখন আমার চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া উচিত?
যদি হঠাৎ, তীব্রভাবে ফোলাভাব দেখা দেয়, অথবা শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথার মতো অন্যান্য লক্ষণের সাথে সম্পর্কিত হয়, তাহলে চিকিৎসার পরামর্শ নিন।

৬. জীবনযাত্রার এমন কোন পরিবর্তন আছে কি যা পায়ের জল রোধ করতে সাহায্য করতে পারে?
হ্যাঁ! নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা এবং দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ক্রিয়তা এড়িয়ে চলা আপনার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।

৭. খাদ্যাভ্যাসের পছন্দ কি পায়ের জল রোধে প্রভাব ফেলতে পারে?
অবশ্যই! সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

৮. দীর্ঘ দিন ধরে পা ফুলে যাওয়া কি স্বাভাবিক?
দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার পর হালকা ফোলাভাব দেখা দেওয়া সাধারণ। তবে, ক্রমাগত বা বেদনাদায়ক ফোলাভাব ডাক্তারের দ্বারা মূল্যায়ন করা উচিত।

probashi.gov.bd - প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, Amiprobashi, Bmet, Probashi App, BMET registration, pdo enrollment, Download PDO Certificate.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন:

Leave a Comment